যুদ্ধের ১৩তম দিনে কিছুটা হলেও সুর নরম করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, এখন থেকে তার দেশ আর ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য জোরাজুরি করবে না।

ইউক্রেনে হামলার পেছেনে রাশিয়ার অন্যতম একটি কারণ ছিল ন্যাটোতে যোগ দিতে কিয়েভের তৎপরতা বৃদ্ধি করা। তবে জেলেনস্কির এই ভাষণ দেশটির সে ইচ্ছার ওপর পানি ছিটিয়ে দিল। একই সঙ্গে তার এ বক্তব্যের যথেষ্ঠ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবিসি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্য পদ দিতে রাজি নয়। আর তাই আমি এ বিষয়টি নিয়ে আর মাথা ঘামাতে রাজি নই। মিত্ররা মূলত বিতর্কিত বিষয় এবং রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে যেতে চাইছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাই না যে দেশটি ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য হাঁটুগেড়ে ভিক্ষা চাইবে।’

জেলেনস্কি মস্কোর হাত থেকে দেশ বাঁচাতে ইউক্রেনের দুটি রুশপন্থী অঞ্চলের বিষয়ে আপস করতে রাজি আছেন বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানান। গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করে রুশ সেনারা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি ইউক্রেনও স্বাধীন দেশ হিসেবে দোনবাস এবং লুগানস্ককে স্বীকৃতি দেবে।

যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার দেওয়া চারটি শর্তের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলেনস্কি বলেন, আমরা এখনো আলোচনায় বিশ্বাসী। ‘আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই। ওই দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া অন্য কেউ এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। তবে আমরা আলোচনা করতে পারি এবং ওই অঞ্চলগুলি কীভাবে টিকে থাকবে সে বিষয়ে সমঝোতা খুঁজে পেতে পারি।’

রাশিয়া প্রথম থেকেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করে আসছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে ন্যাটোর উপস্থিতিকে মস্কো নিজেদের জন্য হুমকি বলে মনে করে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

কলমকথা/সাথী